এই বছরের গ্রীষ্মের এক রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে ইন্দোনেশিয়ায় খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা ঘটে। দুই ব্যক্তি মদ্যপানে ডুবে থাকা অবস্থায় শতাব্দী পুরাতন একটি দার্শনিক প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক শুরু করেন। কে পৃথিবীতে আগে এসেছে? ডিম না মুরগী? বিতর্ক যত গভীর হয় উত্তেজনা তত বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ভিক্টিম সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও খুনী ধারালো ছুরি নিয়ে তার পিছু করে এবং একপর্যায়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। ভিক্টিমের নাম কাদির মার্কাস, খুনীর সঠিক নাম কোনো সংবাদপত্রে পাইনি, তাকে DR বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
যে প্রশ্ন তথা দার্শনিক ডিলেমার জন্য খুন হতে হলো কাদিরকে, সেই প্রশ্নের জন্মদাতা দার্শনিক প্লুটার্চ। প্রথম খ্রিস্টাব্দে তার রচিত এক দার্শনিক প্রবন্ধে তিনি এই মুরগী-ডিমের সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মুরগী আমাদের ডিম দেয়। ডিম থেকে তা দিয়ে নতুন মুরগীর জন্ম হয়। ডিম না থাকলে মুরগীর জন্ম হওয়া সম্ভব না আবার মুরগী না থাকলে ডিমের উৎপত্তিও সম্ভব নয়। তাহলে প্রথম কে এসেছিলো? মুরগী এসে থাকলে ডিম ছাড়া মুরগীটা আসলো কীভাবে? আবার ডিম আগে এসে থাকলে মুরগী ছাড়া ডিমটা আসলো কীভাবে?
দর্শনগুরু অ্যারিস্টটলের মতে, এই প্রশ্নের কোনো উত্তর হওয়ার সম্ভব নয়। প্লুটার্চের প্রশ্নটা আসলে অ্যারিস্টটলেরই অন্য একটি দার্শনিক সমস্যাকে প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যারিস্টটল তার মেটাফিজিক্স বইতে এই বিশ্বজগতের গতিপ্রকৃতির পিছনে কারণ খুঁজতে গিয়ে একটা বিশাল সমস্যায় পড়েন। কার্যকারণ নীতি অনুসারে, এই বিশ্বজগতের প্রতিটি ঘটনাই তার পূর্ববর্তী অন্য কোনো ঘটনার ফলাফল। এমন হলে কোনো ঘটনার পিছনে থাকা “কেনো” প্রশ্নের উত্তর কখনোই পুরোপুরি জানা যায় না। খুব পরিচিত আরেকটি প্রশ্নের সাহায্যে এটা সহজে বোঝা সম্ভব।
- আপনার পরনের শার্টটা কে তৈরী করেছেন?
- অমুক দর্জি।
- তাকে কে সৃষ্টি করেছে?
- একজন শক্তিশালী স্রষ্টা সৃষ্টি করছেন।
- স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করছেন?
- তার চেয়েও অধিক শক্তিশালী কোনো স্রষ্টা।
- সেই অধিক শক্তিশালী স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছেন?
- তার চেয়েও অধিক ……..
এভাবে এই প্রশ্ন যতবার করা হবে ততবার একই উত্তর পাওয়া যাবে। এই সমস্যাটাকে বলে “Infinite Regress” তথা অসীমের দিকে প্রত্যাগমন। আমরা যতবারই এই প্রশ্ন করবো, ততবারই একই উত্তরের পুনরাবৃত্তি ঘটবে এবং এটা অসীম কাল ধরে চলতে থাকবে। অ্যারিস্টটল এই সমস্যার একটা সমাধান যদিওবা দিয়েছিলেন কিন্তু সেটা আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু না। কোনোদিন দর্শন এবং সৃষ্টি নিয়ে মজলিস বসলে নিশ্চিত সেই আলাপ হবে।
প্লুটার্চের প্রশ্নটা এমন অসীমের দিকে প্রত্যাগমন করে। ডিম কোথা হতে আসে? মুরগী হতে। মুরগী কোথা হতে আসে? ডিম হতে। আবার মুরগী, আবার ডিম। এখানে একদম প্রথম মুরগী বা প্রথম ডিম কোথা থেকে আসছে তার উত্তর নির্ণয় সম্ভব নয় যেমনটা অ্যারিস্টটল বলেছিলেন। যাহোক, ডিমের উৎপত্তি আগে নাকি মুরগীর – এ নিয়ে যুক্তিবিদ্যা আমাদের অনেক ঘোল খাওয়ালেও আধুনিক বিজ্ঞান বিশেষত বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞান খুব সহজেই এই প্রশ্নের সমাধান দিতে পারে। দর্শনে যেখানে গোলকধাঁধায় আটকে যেতে হলো সেখানে বিজ্ঞানের এই সফলতার কারণ একটাই; বিজ্ঞান শুধু যুক্তি দিয়ে চলেনা, যুক্তির সাথে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণও তাদের প্রয়োজন পড়ে কোনো কিছুর নির্দিষ্ট ব্যাখা দাঁড় করাতে। আলোচ্য ডিলেমা নিয়ে বিজ্ঞান আমাদের কী জানান দেয় তা আলোচনার আগে আমাদের জানা দরকার ডিম আসলে কী! অতিসরলীকরণ করে বলা যায়, একটা পর্দা দ্বারা আবদ্ধ পাত্র যার অভ্যন্তরে ভ্রূণের বিকাশ ঘটে, পরিপক্ব বাচ্চা পরিস্ফুটন না হওয়া পর্যন্ত, এরই নাম ডিম। বিবর্তনে প্রথম যারা আধুনিক ডিম পাড়া শুরু করে তাদের নাম অ্যামনিওট (Amniote), আজকের আমরা স্তন্যপায়ীরা, সরিসৃপ কিংবা পাখিরা সবাই এই অ্যামনিওট গোষ্ঠী থেকেই বিবর্তিত হয়েছি। আধুনিক ডিম পাড়ার বিশেষ সক্ষমতার জন্যই গোষ্ঠীর নাম অ্যামনিওট। কীভাবে? আমরা আজকের দিনে ডিম হিসেবে যাদের চিনি সেসব নিঁখুত ডিমে ভ্রুণ তথা ভিতরের হলদেটে কুসুমের বাইরে তিনটি স্তরের পর্দা থাকে।
অ্যালানটয়েস (allantois) : ডিমের অভ্যন্তর থেকে বাইরে নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য নিঃসরণ করে এবং শ্বসনপ্রক্রিয়া সহজতর করে।
কোরিওন (Chorion) : ভ্রূণ এবং ডিমের বাইরের পরিবেশের মধ্যে গ্যাসীয় আদানপ্রদান বজায় রাখে।
অ্যামনিওন (Amnion) : এটা ভ্রূণের বাইরের একটা পর্দা। এই পর্দার অভ্যন্তরেই ভ্রূণ তরলে নিমজ্জিত থাকে, অ্যামনিওটিক তরল।
এই অ্যামনিওন পর্দাবিশিষ্ট ডিম প্রদানের জন্যই গোষ্ঠীর নাম অ্যামনিওট। প্রশ্ন হলো আমরা এই তিন পর্দার ডিমকে আধুনিক ডিম কেনো বলছি? কারণ ডিম পাড়ার অভিযোজন তার বহু বহু আগেই প্রাণীজগতে শুরু হয়েছিলো। অ্যামনিওটদের আগের ডিম পাড়া প্রাণীদের ডিমে কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা ছিলো না; বাইরে শক্ত খোলস ছিলোনা, ভিতরে অ্যামনিওনে আবদ্ধ তরল ছিলো না। ফলে এমন ডিম স্থলে কোথাও থাকলে গণগণে রোদের তাপ আর শুষ্ক পরিবেশে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যেতো। ডিম যেনো শুকিয়ে নষ্ট না হয়ে যায় তাই প্রাণীরা ডিম পাড়ার জন্য পানি কিংবা আর্দ্র পরিবেশ খুঁজে বেড়াতো। এইসকল প্রাণীদের মধ্যে ছিলো স্নেইল, বহু প্রজাতির মাছ। যখন বিবর্তনে অ্যামনিওন পর্দা যুক্ত ডিমের উৎপত্তি হয় তখন পানি ছাড়াও স্থলের বিভিন্ন জায়গায় ডিম পাড়ার দরজা খুলে যায় প্রাণীদের জন্য। অ্যামনিওটদের এই ডিমগুলো একটা পুরো আবদ্ধ “একের ভিতর সব” ব্যবস্থা যেখানে আসলেই সবকিছু আছে, পুষ্টি, প্রয়োজনীয় জলজ পরিবেশ, শ্বসনে উৎপন্ন বর্জ্য গ্যাস নির্গমনের উপায় এবং বাইরের শক্ত স্তর ভিতরের ভ্রূণকে রক্ষা করার জন্য। এইরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কারণেই পানি বা সিক্ত পরিবেশ খুঁজে খুঁজে ডিম পাড়ার প্রয়োজনীয়তা ফুরালো, এখন স্থলেও ডিম পাড়ার পথ উন্মুক্ত হলো প্রাণীদের জন্য। এই অ্যামনিওটদের উৎপত্তি প্রায় ৩৪-৩৭ কোটি বছর আগে। কালের বিবর্তনে এই অ্যামনিওট দুইটা আলাদা প্রাণীগোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে যায়- সিন্যাপসিডা এবং সরোপসিডা। এই সরোপসিডা মূলত সরীসৃপ প্রাণী-গোষ্ঠী, সরোপসিডা থেকেই বিবর্তিত হয়ে আধুনিককালের সরীসৃপের পাশাপাশি পাখিরাও আসছে পৃথিবীতে। আর সিন্যাপসিডা থেকে আসছি আমরা, স্তন্যপায়ীরা। যাহোক, প্রাচীনকালের সরিসৃপ গোষ্ঠী সরোপসিডা থেকেই আজকের পাখিরও বিবর্তন ঘটেছে। মোরগ-মুরগীও কিন্তু এই পাখি শ্রেণীরই অন্তর্ভুক্ত। অ্যামনিওট থেকে পাখি উৎপত্তির ধাপগুলো এমন:
Amniotes
↓
sauropsids
↓
Diapsids
↓
archosaurs
↓
Theropods
↓
Maniraptora
↓
Archaeopteryx
↓
Early Birds
↓
Modern Birds (Including Fowl)
এখনও অবদি আমাদের আলোচনার সারমর্ম তাহলে কী দাঁড়ালো? প্রশ্নটা যদি হয় ডিম আগে নাকি মুরগী আগে? তাহলে মুরগী পৃথিবীতে আসার বহু কোটি বছর আগেই মাছ, স্নেইল ডিম পাড়তো আমরা জেনেছি। প্রশ্নটা যদি হয় আধুনিক নিঁখুত ডিম আগে নাকি মুরগী আগে? তাহলে মুরগীর উৎপত্তিই অ্যামনিওটদের দীর্ঘ বিবর্তনের ফলে অনেকগুলো ধাপ পরে এসে হয়েছে যেখানে আধুনিক ডিমের উৎপত্তি অ্যামনিওটদের সাথেই। অর্থাৎ উভয় প্রশ্নের উত্তরেই ডিম মুরগীর আগেই পৃথিবীতে এসেছে। এবার অতি প্রাচীন এই প্রশ্নটাকে একটু পরিমার্জন করা যাক। মুরগী আগে নাকি মুরগীর ডিম আগে?
বিবর্তনীয় জীববিদ্যা আমাদের জানান দেয়, দেহকোষে হওয়া মিউটেশনে সৃষ্ট নতুন বৈশিষ্ট্য বংশ পরম্পরায় পরিবাহিত হয়না। শুধু তখনই কেনো বৈশিষ্ট্য বংশ পরম্পরায় পরিবাহিত হতে দেখা যাবে যখন তা জনন কোষের মিউটেশনে সৃষ্ট হবে। মুরগীর সরাসরি পূর্বপুরুষকে আমরা প্রোটো চিকেন নামে ডাকতে পারি। প্রোটোচিকেনের কোনো পপুলেশনে হওয়া একধিক মিউটেশন তাদের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে করে প্রথম সত্যিকারের মুরগীর (Red Junglefowl) জন্ম দিয়েছে। আজকে আমরা যে মুরগী দেখি বা খাই সেগুলো কিন্তু এই রেড জাঙ্গলফাউল নয়, বরং রেড জাঙ্গলফাউলের পোষা এবং অভিযোজিত মুরগী প্রজাতি। মুরগী যে শুধু খাওয়ার জন্যই পোষ মানানো শুরু হয়েছিলো এমন কিন্তু নয়, খাদ্য চাহিদা পূরণ করা ছাড়া এদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো পোকামাকড়, ছোটো ছোটো অযাচিত প্রাণী মেরে ফেলা, এক কথায় সে যুগের পেস্ট কন্ট্রোলার। এই রেড জাঙ্গলফাউলের উৎপত্তি ঠিক কতবছর আগে তা নির্দিষ্ট করা এখনও সম্ভব হয়নি। তবে ২০১০ সালে প্লস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, এদের পোষ মানানো প্রায় ৫৮০০০ বছর আগেই শুরু হয়ে গেছিলো বলে ধারণা করা যায়। একদমই নিশ্চিত কিছু না এই সংখ্যাটাও। বেশিরভাগ গবেষণাপত্রে এখনো মুরগীর পোষ মানানোর সময়কাল ৮০০০-৯০০০ বছরই উল্লেখ করা হয়ে থাকে। যুক্তি অনুসারে, প্রোটোচিকেনের জননকোষে হওয়া মিউটেশন প্রোটোচিকেনের ডিমে পরিষফুটিত হওয়া ভ্রূণের দৈহিক বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আনে। এভাবে দৈহিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হতে হতে একদিন রেড জাঙ্গলফাউল তথা মুরগীর জন্ম হয়। অর্থাৎ, জনন কোষে হওয়া মিউটেশন প্রোটোচিকেনের ডিমকে পরিবর্তন করতে করতে একদিন মুরগীর ডিমে পরিণত হয় যেখান থেকে জন্ম নেয় সত্যিকারের মুরগী। খেয়াল করে দেখুন, প্রথম মুরগীর ডিম কিন্তু মুরগীর জনন কোষ হতে সৃষ্টি হয়নি, প্রথম মুরগীর ডিম মুরগী পাড়েওনি। প্রথম মুরগীর ডিম পেড়েছে মুরগীর পূর্বপুরুষ প্রোটোচিকেন, সেই ডিম থেকে এসেছে মুরগী। ডিম পরিষ্কারভাবে এখানেও এই বিতর্কে জয় লাভ করে। মুরগীর আগে ডিম এসেছে, মুরগী এসেছে পরে। কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস এখনও আলোচনা করা বাকী আছে যেটা আমাদের এই উপসংহারকে আরও একবার পুনরায় ভাবতে বাধ্য করে।
ব্রাজিলিয়ান জার্নাল অব পোল্ট্রি সাইন্সে ২০০৫ সালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এখানে বলা হয়েছিলো, মুরগীর ডিমের খোসার উপর বিস্তর গবেষণা করে দেখা গেছে এদের খোসা ক্যালসিয়াম কার্বনেটের (CaCO3) তৈরী। এবং শুধু তখনই কোনো মুরগীর খোসায় এই CaCO3 এর উপস্থিতি পাওয়া যাবে যখন মুরগীর ডিম্বাশয়ে বিশেষ কিছু প্রোটিন উপস্থিত থাকবে, OC-17 (ovocleidin-17) এরকমই এক প্রোটিন। এই প্রোটিনের উপস্থিতি ব্যতীত ক্যালসিয়াম কার্বনেট সমৃদ্ধ ডিমের খোলস তৈরী হওয়া সম্ভবই নয়। এছাড়া, এই প্রোটিনের উপস্থিতি ডিমের নির্মাণগতিও দ্রুত করে, ফলে মুরগী ২৪ ঘন্টার ভিতর ভিতর ডিম পাড়তে সক্ষম হয়। নাহলে হয়তো এমনটা হতোইনা। যাহোক, OC-17 শুধু মুরগীর ডিম্বাশয়ে পাওয়া যায়। তাহলে, পার্ফেক্ট মুরগীর ডিম মুরগী ছাড়া কীভাবে আসবে? আসবেনা৷ অর্থাৎ, প্রোটোচিকেনের ডিম থেকে প্রথম মুরগীর জন্ম হলেও ডিমের বিবর্তন ওখানেই থেমে যায়নি। এই মুরগীর ডিম্বাশয়ে উপস্থিত OC-17 ডিমের খোলসকে আরও উন্নত করেছে, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ করেছে, মুরগীর ডিমের আধুনিকায়ন ঘটিয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে খামারে গিয়ে আপনি একটা মুরগীর ডিম হাতে নিয়ে যদি বলেন, “বলোতো, ডিম আগে না মুরগী?” উত্তর হবে, মুরগী৷
সর্বশেষ উপসংহার তাহলে কী দাঁড়ালো?
মাছ, স্নেইলের প্রাচীন খোলসহীন অসুরক্ষিত ডিম
↓
অ্যামনিওটদের খোলসযুক্ত সুরক্ষিত ডিম
↓
অ্যামনিওট থেকে বিবর্তনে আসা প্রোটোচিকেন
↓
প্রোটো চিকেনের ডিম
↓
প্রোটোচিকেন
↓
প্রোটোচিকেনের জননকোষে মিউটেশন
↓
মিউটেশনের ফলে সৃষ্ট সত্যিকারের মুরগীর ডিম
↓
সত্যিকারের মুরগী (Red Junglefowl)
↓
মুরগীর ডমেস্টিকেশন
↓
আজকের মুরগী যেগুলো আমরা খাই
↓
মুরগীর ডিম্বাশয়ে উপস্থিত প্রোটিন (OC-17)
↓
ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ আধুনিক মুরগীর ডিম
মুরগী আগে নাকি ডিম- এই প্রশ্নের উত্তর আসলেই ধাঁধার মতো জটিল। বিজ্ঞান নাক না গলালে শুধু যুক্তিবিদ্যা দিয়ে এ ধাঁধার সমাধান হতো না কখনো। হয়তো কাদির মার্কাসের মতো আরও কতকগুলো লাশ পড়তো। কিন্তু কাদিরের হত্যাকান্ডও দুঃখজনকই, ভাবুন ২০২৪ এ এসে এমন নৃশংসতা কেনো দেখা লাগছে? কারণ, মানুষজন বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ, জ্ঞানগত স্বল্পতা, মুর্খামি এমন পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি করে চলেছে দেশ দেশান্তরে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারে আমাদের সাথে আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ রইলো। আলোকিত সমাজ তৈরীতে বিজ্ঞানের প্রসার কোনো অপশন নয়, শেষ সম্বল। ধন্যবাদ।
References:
1) Australian Academy of Science, Which came first: the chicken or the egg?
2) Independent co UK, Indonesian man stabs friend to death over chicken or egg debate
3) BoingBoing net, Man stabbed to death in debate over whether chicken or egg came first
4) Britannica, Unmoved Mover
5) Wikipedia, Chicken or the egg
6) PLoS ONE, The Origin and Genetic Variation of Domestic Chickens with Special Reference to Junglefowls Gallus g. gallus and G. varius
7) MDPI, Sophisticated Fowl: The Complex Behaviour and Cognitive Skills of Chickens and Red Junglefowl